মালদা

আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সনাতন দাস

পরীক্ষা নিয়ামক থাকাকালীন আর্থিক দুর্নীতিতে জরিয়ে পরার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক সনাতন দাসকে। অভিযোগের ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরর্বতী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানালেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন। 

২০১২ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক সনাতন দাস। ২০১৭ সালে বির্তকে জরান তিনি। মালদা কলেজে আসন সংখ্যার চেয়ে বেশী পরীক্ষার্থী দিয়ে প্রথম বির্তকের সুত্রপাত ঘটে। এরপর ওই শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষার্থীদের গ্রেস নম্বর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। মালদা কলেজের এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর এরপর এই সব ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষা নিয়ামকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সনাতন দাসকে। এমনকি গোপাল চন্দ্র মিশ্রর জায়গায় উপাচার্য করা হয় স্বাগত সেনকে। চলতি বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক রিপোর্টে সনাতন দাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে সনাতন দাসকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় ইসি মিটিংয়ে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার স্বাধন কুমার সাহা চিঠি দিয়ে সনাতন দাসকে সাসপেন্ডের কথা জানিয়ে দেন। তদন্ত চলা পর্যন্ত তিনি সাসপেন্ড থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার।

এবিষয়ে রেজিস্টার সাধন কুমার সাহা জানান, এর আগে তিনি প্রাক্তন কন্ট্রোলার ছিলেন, পরীক্ষা নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছিল যার কারন তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার উত্তর তিনি যা জানিয়েছিলেন তা আমরা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে পেশ করা হয়েছিল। যদিও তার জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা আমাদের যেমন যেমন পদক্ষেপ নিতে বলেছে তেমন ভাবেই তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন বলেন, সনাতন দাস অঙ্কের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসার থাকা কালীন বিভিন্ন অ্যাডিশনাল চার্যের দায়িত্বে ছিলেন। সেই মতো দেখা যায় তিনি বেশ কিছু দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। যদিও তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়, কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাছে সনাতন দাসের সাসপেন্সন অর্ডার আসে। সেই অনুযায়ী তারা চিঠি দিয়ে সনাতন দাসকে সাসপেন্ডের কথা জানিয়ে দেন।

যদিও এই বিষয়ে সাসপেন্ডেট প্রফেসার সনাতন দাসের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে

https://www.youtube.com/embed/Ec2MiG4lbV4